বিদেশে যাওয়া বা বিদেশে
চাকুরির ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
প্রয়োজন হয়। পুলিশ ক্লিয়রেন্স সার্টিফিকেট এর অর্থ হচ্ছে, যাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
দেয়া হচ্ছে তিনি কোন অপরাধী নন এবং তার বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগও নেই।
ঢাকার বাসিন্দাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হলে রমনায় অবস্থিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদরদপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। সকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ইংরেজী ভাষায়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়িত করে
দেয়া হয়।
যোগাযোগের ঠিকানা
‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস’, রুম-১০৯,
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়াটার্স
৩৬, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণী, রমনা, ঢাকা।
হেল্পলাইনঃ- ০১১৯১০০৬৬৪৪, ০২-৭১২৪০০০, ৯৯৯-২৬৩৫
‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস’, রুম-১০৯,
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়াটার্স
৩৬, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণী, রমনা, ঢাকা।
হেল্পলাইনঃ- ০১১৯১০০৬৬৪৪, ০২-৭১২৪০০০, ৯৯৯-২৬৩৫
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেবার
পদ্ধতি…
একটি সাদা কাগজে
বাংলা বা ইংরেজীতে পুলিশ কমিশনার মহোদয় বরাবর আবেদন করতে হয়, সাথে ১ম শ্রেণীর
সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের ফটোকপি দিতে হয়। পাসপোর্টের যে
সকল পৃষ্ঠায় প্রার্থী সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে যে সকল পৃষ্ঠা এবং যদি নবায়ন করা
হয়ে থাকে তবে নাবায়নের পৃষ্ঠাসহ পাসপোর্টের ফটোকপি দাখিল করতে হয়। কর্তৃপক্ষ চাইলে
মূল পাসপোর্টও প্রদর্শন করতে হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট গৃহীত হয় না।
ঠিকানা সংক্রান্ত নিয়মাবলী…
পাসপোর্টে
উল্লেখিত স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ঠিকানার যে কোন একটি অবশ্যই ঢাকা মহানগর
এলাকার অভ্যন্তরে হতে হবে এবং অবশ্যই ঐ ঠিকানায় বসবাস করতে হবে। যদি পাসপোর্টে
উল্লেখিত স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা অথবা “থানা এলাকার” পরিবর্তন হয় তবে নিকটস্থ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঠিকানা
সংশোধন করে পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি দাখিল করতে হবে। প্রার্থীর
দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ/স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর
সনদপত্রে উল্লেখিত ঠিকানার সাথে প্রার্থীর বর্তমান বসবাসের ঠিকানার
মিল থাকা জরুরি।
যারা বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের ফটোকপিসহ তার পক্ষে আত্মীয়/অনুমোদিত ব্যক্তি আবেদন পত্র দাখিল করতে পারেন।
পাসপোর্টে উল্লেখিত ঠিকানা যদি ঢাকা মহানগরীর বাইরে হয় তবে ঠিকানাটি যে জেলার অন্তর্গত সেই জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হয়।
সাথে যা যা প্রয়োজন…
ট্রেজারী চালান পূরণের নিয়ম
প্রথমেই 'সোনালী ব্যাংক' থেকে পাঁচশত (৫০০/=) টাকার ট্রেজারী চালান কাটুন।
আপনার বাড়ির নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকে গিয়ে (যেখানে ট্রেজারী চালান জমা
নেয়া হয়) 'ক্যাশ গ্রহণ' কাউন্টার থেকে একটি ট্রেজারী চালান ফরম (মূলকপি)
নিন। এরপর চালানের এই মূল কপিটি নিচের ছবি অনুসরণ করে সঠিকভাবে পূরণ করুন:
ট্রেজারী চালান পূরণের নিয়ম
এরপর উক্ত মূল কপিটির আরও ২ টি ফটোকপি করুন। এবার চালানের ৩টি কপি ৫০০ টাকা
সহ সোনালী ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে জমা দিন। জমা দেবার পূর্বে ৩ টি
চালানের (একটি মূল কপি এবং ২ টি ফটোকপি) মূলকপির পিছনে আপনার মোবাইল
নম্বরটি লিখুন। এরপর স্বাক্ষর-সিল দিয়ে ২টি ফটোকপি ব্যাংক রাখবে এবং
মূলকপিটি আপনাকে দিয়ে দেবে। সোনালী ব্যাংক থেকে সিলকৃত এই মূলকপিটির একটি
ফটোকপি আপনার নিজের সংগ্রহের জন্যে রেখে দিন। প্রঙ্গত: উল্লেখ্য যে,
ট্রেজারী চালান করা যায় - সোনালী ব্যাংক-এর এধরণের শাখা হতে ট্রেজারী
চালান করার সময় ট্রেজারী চালানে থানার ১৩ সংখ্যার কোড নম্বরটি পূর্বেই নিজ
নিজ থানা/কর অঞ্চল থেকে জেনে নিন। ব্যাংক থেকে থানার উক্ত কোড নম্বরটি
পাওয়া যাবেনা।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এম.আর.পি) ক্ষেত্রে
যদি পাসপোর্টে ঠিকানা উল্লেখ না থাকে তবে ঠিকানার প্রমাণ
স্বরুপ জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন সনদ/ স্থানীয়
ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রদত্ত সনদপত্রের ফটোকপি ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড
কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে দাখিল করতে হয়।
শুধুমাত্র “স্পেন” সংক্রান্ত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
পাওয়ার জন্য প্রার্থীকে তার আবেদনসহ উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রের সাথে ০৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সত্যায়িত করে “সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়”
বরাবর স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন শাখা ০৩ এ দাখিল করতে হয়।
নিজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে হলে কিভাবে আবেদন লিখতে হবেঅথবা সাদা কাগজে হাতে লিখিত আবেদন পত্র লিখুন। (নিচে এর নমুনা দেয়া হলো)
তারিখ: ................................
বরাবর
পুলিশ কমিশনার,
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ,
পুলিশ হেডকোয়ার্টার,
রমনা, ঢাকা।
বিষয়: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট-এর জন্য আবেদনপত্র।
মহোদয়,
আমি নিম্ন সাক্ষরকারী (নাম: .................................., পিতা: ................................., স্থায়ী ঠিকানা: ....................................................., বর্তমান ঠিকানা: ..............................., পোষ্ট অফিস+থানা: মিরপুর-২) বাংলাদেশের একজন স্থায়ী নাগরিক। আমার পাসপোর্ট নম্বর: .............. এবং পাসপোর্টটি আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা থেকে ................... তারিখে ইস্যুকৃত। বর্তমানে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আমার একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
অতএব, মহোদয়ের নিকট নিবেদন এই যে, একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করে বাধিত করবেন।
ধন্যবাদান্তে,
(পাসপোর্টের সাক্ষর)
নাম ......................
ঠিকানা...........................
পাসপোর্ট নম্বর: .......................
মোবাইল নম্বর: ..........................।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেয়া
আবেদনপত্র জমা
দেয়ার পর অফিস থেকে প্রাথমিকভাবে সিরিয়াল নম্বরসহ একটি টোকেন
দেয়া হয়। টোকেনে একটি তারিখ
উল্লেখ করা হয়। উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট থানায় টোকেনটি জমা দিতে হয়। এরপর থানার তরফ
থেকে একটি তদন্তর্কায সম্পন্ন করা হয়। এই তদন্তের সাত (৭) কর্মদিবসের মধ্যে
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়া হয়।
বাংলাদেশে বসবাসরত/কর্মরত বিদেশী নাগরিক/বিদেশী পাসপোর্টধারী ব্যক্তিগণ উপরোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিজে অথবা অনুমোদিত ব্যক্তি দ্বারা আবেদনপত্র দাখিল করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভাই চালান ফরম এর কোডকি এখানে যেটা দেওয়া আছে অইটাই দেব নাকী এলাকা ভিত্তিক আলাদা হয়?
ReplyDelete